বাইডেনের আগমনে ডলারের দরপতন

আমেরিকায় ট্রাম্পের শাসন শেষ, শুরু প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন সময়। আর বিশ্ব নেতাদের আশা, গ্লোবাল ইস্যুর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পথ থেকে সরে আসবেন বাইডেন। তিনি সহযোগিতার নীতি নিয়ে চলবেন। ওভাল অফিসে বসে বাইডেন প্রথম দিনেই একগুচ্ছ প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন। ট্রাম্পের আমলের বহু সিদ্ধান্ত বদল করেছেন।

এদিকে করোনা মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের (প্রায় এক কোটি ৬১ লাখ কোটি টাকা) রিলিফ প্যাকেজের পরিকল্পনা ঘোষণা করে৷ রিলিজ প্যাকেজের জন্য মার্কিন অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আসবে এই আশায় ‘সেফ-হেভেন কারেন্সি’ বলে পরিচিত মুদ্রাগুলোর চাহিদা কমে গেছে৷

যেসব দেশের আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা স্থিতিশীল, দুর্নীতিকম, যাদের ক্রয়ক্ষমতা স্থিতিশীল, অর্থব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো সেসব দেশের মুদ্রাকে সাধারণত সেফ-হেভেন কারেন্সি হিসেবে ধরা হয়৷

আজ (২১ জানুয়ারি) কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান পড়ে যাওয়ার এটি একটি কারণ৷ তার মধ্যে এশিয়ায় টানা তৃতীয়দিনের মতো কানাডীয় ডলারের বিপরীতে মার্কিন ডলার ০.২ শতাংশ পড়ে গেছে৷ নরওয়েজিয়ান ক্রোনার বিপরীতেও ডলার ০.৪ শতাংশ পড়েছে৷ আরেকটি সেফ-হেভেন কারেন্সি জাপানের ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান ০.২ শতাংশ কমে গেছে৷

ইউরো, অস্ট্রেলিয়ার ডলারের বিপরীতেও ডলারের একই চিত্র দেখা গেছে৷ সূত্র: রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.