বাইডেনকে বিশ্ব নেতাদের বার্তা

আমেরিকায় ট্রাম্পের শাসন শেষ, শুরু প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন সময়। আর বিশ্ব নেতাদের আশা, গ্লোবাল ইস্যুর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পথ থেকে সরে আসবেন বাইডেন। তিনি সহযোগিতার নীতি নিয়ে চলবেন। ওভাল অফিসে বসে বাইডেন প্রথম দিনেই একগুচ্ছ প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন। ট্রাম্পের আমলের বহু সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। তাই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আশাও বেড়েছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ইউরোপ হলো আমেরিকার বন্ধু। আর ক্যাপিটলে ঐতিহ্যবাহী শপথ অনুষ্ঠান আমেরিকায় গণতন্ত্রের শক্তি দেখিয়ে দিল।

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়া হলো গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ দিন।’ বাইডেন কী করে গ্লোবাল ইস্যুর মোকাবিলা করেন, সেদিকেই তিনি তাকিয়ে আছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কর্মী, গভর্নর, বিচারবিভাগ, কংগ্রেস তাদের শক্তি কতটা, তা দেখিয়ে দিয়েছে।’

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েই বাইডেন নির্দেশ দিয়েছেন, আমেরিকা আবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যোগ দেবে। ইউরোপীয় কমিশন তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। টুইট করে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা একসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করব।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ টুইট করে বলেছেন, ‘প্যারিস চুক্তিতে আমেরিকাকে স্বাগত।’

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনার বিরুদ্ধে আমরা একযোগে লড়াই করব।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যোগ দেয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তোলার সিদ্ধান্ত এখন বাইডেনকে নিতে হবে। বল এখন আমেরিকার কোর্টে। ওয়াশিংটন যদি চুক্তিতে যোগ দেয়, তাহলে আমরাও আমাদের প্রতিশ্রুতি পালন করব।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পাসকি তাঁর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আবার যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিচার-বিবেচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বাইডেন মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।’

ল্যাটিন আমেরিকার নেতারা আশা করছেন, বাইডেন এবার নিষেধাজ্ঞা তুলবেন। অভিবাসন নীতিতে সংস্কার করবেন। ট্রাম্প ল্যাটিন আমেবিকার কিছু দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতি নিয়ে চলেছিলেন, আবার কিছু দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোরের অনুরোধ, বাইডেন যেন উন্নয়নের নিরিখে মার্কিন-মেক্সিকোর সম্পর্ককে দেখেন, নিরাপত্তা ও সামরিক দৃষ্টিতে নয়। ট্রাম্পের বন্ধু ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সেই ভিশন নিয়ে তিনি বাইডেনকে চিঠি পাঠাবেন।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের আশা, বাইডেন এবার নীতি বদল করবেন এবং প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, তিনি ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চান। দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা বাড়াতে চান। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.