সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চিত্রগ্রাহক রাহাত

এবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চিত্রগ্রাহক অনিমেষ রাহাত। বুধবার সকালে ‘মুখোশ’ চলচ্চিত্রের শুটিং স্পটে যাওয়ার সময় গাজীপুরের চন্দ্রায় একটি ট্রাক এসে তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই প্রাণ হারান এই তরুণ চিত্রগ্রাহক। বর্তমানে তাকে সিরাজগঞ্জের কাজীরহাটে নিজ বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল লিখেছেন, রাহাত আর দেখা হবে না তোমার সাথে ,গত ৯ আর ১০ তারিখ এফডিসিতে ৯ নাম্বার ফ্লোরে কী পরিশ্রম করে ‘গাংচিল’ এর শুটিং করলা .আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত নসীব করুক আমিন।

চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান লিখেন, ঝরে গেলো আরো একটি উত্তাল তারুণ্য। অসম্ভব ভদ্র এই ছেলেটি কঠিন পরিশ্রম করে নিজের চেষ্টায় camera assistant থেকে steadicam operator হয়েছিলো। কিছুদিন আগে এসেছিলো দেখা করতে। ওর demo reel এবং steadicam দেখাতে। আমাকে এই করোনাকালেও কতবার ফোন দিয়েছে, তার নানা স্বপ্ন ও ইচ্ছার কথা শোনাতে।

অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, ‘রাহাত..রাহাত রে… স্টেডিক্যামের অপারেটর রাহাত আজকে মোটর সাইকেল এক্সিডেন্টে মারা গেল। গত ৩ দিন আগে কাজ হলো ‘মুক্তি’ তে তার ৩ দিন আগে ‘গাংচিল’ এ। এ মুহূর্তে স্টেডিক্যামে ওর বিকল্প আছে কিনা জানা নাই। এত ভদ্র, এত অমায়িক… একটা ছেলে। আল্লাহ, আর তো নিতে পারিনা….আর কত? কত? ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।’

সম্প্রতি প্রীতিলতা, মুক্তি, গাংচিল এবং মুখোশ নামের চলচ্চিত্রগুলোতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।

এর আগে ৪ জানুয়ারি (সোমবার) দিবাগত রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি মোটরবাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এতে তার মাথা থেঁতলে যায়। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানেই তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

আশা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে পড়ছিলেন। তিনি মিরপুরের রূপনগরে ২০ নম্বর রোডের ৩৭ নম্বর বাসায় থাকতেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিশুশিল্পী ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিয়মিত প্যাকেজ নাটক, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছিলেন।

অর্থসূচক/এএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.