সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে ইংল্যান্ড

পঞ্চম দিনে অপেক্ষা ছিল ৩৬ রানের। ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসমস্যান জনি বেয়ারস্টো এবং ড্যান লরেন্স ১০ ওভারের মধ্যেই তা টপকে গেলেন। ফলে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশ। যদিও এর পুরো কৃতিত্বই ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট ও দুই স্পিনার ডম বেস এবং জ্যাক লিচের। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রুট আর শ্রীলঙ্কার স্পিন বান্ধব উইকেটে ৫ উইকেট করে শিকার করেছিলেন এই দুই স্পিনার।

তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ১৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড পঞ্চম দিনে আর কোন উইকেট হারায়নি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বেয়ারস্টো এবং লরেন্স ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে লক্ষ্যে পৌছে দেন। বেয়ারস্টো ৩৫ রানে এবং অভিষিক্ত লরেন্স ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। যদিও দিলরুয়ান পেরেরার বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লরেন্স।

ফলে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা। এই নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টানা পঞ্চমবারের মতো জয় পেল ইংল্যান্ড। এই ম্যাচ দিয়ে রান খড়া ঘুঁচিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন রুট। প্রথম ইনিংসে ২২৮ রান করেছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার স্পিনিং উইকেটে লাসিথ এম্বালদুনিয়া, দিলরুয়ান পেরেরা এবং ওনেন্দু হাসারাঙ্গার স্পিনে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের।

যদিও এই উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইংলিশ ডানহাতি স্পিনার বেস প্রথম ইনিংসে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁহাতি স্পিনার লরেন্স তাঁর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। মূলত লরেন্সের ঘূর্ণিতেই তৃতীয় দিনে ২ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছিল ৩৫৯ রানে। ফলে প্রথম টেস্ট জিততে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৭৪ রান।

ছোট লক্ষ্য তাঁড়া করতে নেমে গলের স্পিনিং উইকেটে শুরুতেই বিপাকে পড়েছিল সফরকারীরা। মাত্র ৩ রানের মাথায় ডমিনিক সিবলীকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছিল বাঁহাতি স্পিনার লাসিথ এম্বালদুনিয়া। সিবলী করেছিলেন মাত্র ২ রান। শুরুর ধাক্কা সামলে স্কোরবোর্ড মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জ্যাক ক্রোলি এবং জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু দলীয় ১২ রানের মাথায় আবারো এম্বালদুনিয়ার বলে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ হয়ে হয়ে ফিরে যান ক্রোলি।

দলীয় ১২ রানের মাথায় ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো দলীয় অধিনায়ক জো রুট। কিন্তু তিনিও ৩ বলের বেশি টিকতে পারেননি। মাত্র ১ রান করে রুট ফিরে গেলে আবারো বিপাকে পড়েছিল ইংল্যান্ড। ফলে ৭৪ রানের লক্ষ্য তাঁড়া করতে নেমে ১৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংলিশরা।

গলের স্পিনিং উইকেটে ছোট্ট লক্ষ্যটাকেই যেন অনেক বড় মনে হয়েছিল ইংলিশদের জন্য। ৩ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি বেয়ারস্টো এবং লরেন্স। শেষ দিনের প্রথম ঘন্টায় সহজ জয় পেয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিনেই শ্রীলঙ্কার হয়ে এম্বালদুনিয়া শুধুমাত্র ২ উইকেট শিকার করেছিলেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.