করোনাকালে কিছু দুর্নীতি হয়েছে কিন্তু ছাড় দেইনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা মোকাবিলায় সরকারের ‘অব্যবস্থাপনা’ রয়েছে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, আমরা তাড়াতাড়ি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করেছি। কেউ জানত না কিভাবে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। আমরা দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করেছি। আমাদের মিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। তারপরও আপনারা বলছেন অব্যবস্থাপনা। আমি এটা মানতে পারলাম না। যেখানে কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে- কেউ জানত না। তাহলে অব্যবস্থাপনা কিভাবে হয়। আমরা জানলাম টেস্ট করতে হবে, একটি ল্যাব থেকে ২০০ ল্যাবে নিয়ে গেলাম।

আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনাকালে বেসরকারি সেক্টরে কিছু দুর্নীতি হয়েছিল। আমরা ছাড় দেইনি। শাহেদ, সাবরিনার কথা এসেছে। আজকে তারা জেলে। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। যেখানে অপরাধ হয়েছে অনিয়ম হয়েছে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে চায়নি, আমরা ডেকে ডেকে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। আজকে ইউরোপ, ইতালি, স্পেন, জার্মানি পারছে না, তাদের হাসপাতালে জায়গা নেই। যুক্তরাজ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সেই তুলনায় আমরা ভালো আছি।

করোনা মোকাবিলায় সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন ২৫/২৬ জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে। আমরা করোনা যেভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি। ঠিক সেভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফল হবো। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রায় ৪২ হাজার জনকে প্রশিক্ষিত করার হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, আজকে যে দেশের করোনা ভালো আছে, সে দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। আমাদের অর্থনীতি ভালো আছে- কারণ ‘করোনা ইজ আওয়ার আন্ডার কন্ট্রোল, দ্যাটস হোয়াই ইকোনোমি ইস রানিং প্রোপ্রালি’।

জাহিদ মালেক বলেন, মাস্ক একটা কার্যকর ব্যবস্থা এটা কেউ জানত না। আমরা ক্যাম্পেইন করেছি, সার্ভিস পেতে হলে মাস্ক পরতে হবে। নো মাস্ক নো সার্ভিস- পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছি, উনি আনন্দের সঙ্গে তা অনুমোদন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে প্রাইভেট সেক্টরও ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ চালু করেছে। যা খুব কার্যকর হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.