এক প্রার্থীর ভাই নিহতের ৫ ঘণ্টা পর মিলল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লাশ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক প্রার্থীর ভাই নিহত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষ প্রার্থী আলমগীর হোসেন খানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রথমে রাত ৮টার দিকে দুই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক প্রার্থীর ভাই আওয়ামী লীগনেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু নিহত হন। এর পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে স্থানীয় কুমার নদীতে শ্যাওলার ভেতর দাঁড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. আলমগীর খাঁন বাবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ খবর নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ আনোয়ার সাঈদ জানান, লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সংঘর্ষের পর পালাতে গিয়ে নদী পার হওয়ার সময় তীব্র শীতে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে এ বিষয়ে আর কিছু জানাতে রাজি হয়নি তিনি।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রচারণাকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরপুর এলাকায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শওকত হোসেন ও আলমগীর খাঁন বাবুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শওকত আলীর ছোট ভাই লিয়াকত আলী বল্টুসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে লিয়াকত আলী বল্টুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই লিয়াকত আলী বল্টুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি। আজ রাত ১২টা থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে। দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.