‘পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার স্বার্থে তদন্তের নির্দেশনা’

অনেক বছর পর গতি ফিরে পেতে থাকা পুঁজিবাজারে কোনো গোষ্ঠি যাতে কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করতে না পারে সে লক্ষ্যে সতর্ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিএসইসি শেয়ারের মূল্য বা লেনদেনে বড় কোনো পরিবর্তন এলে তা খতিয়ে দেখার জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুসারে, কোনো শেয়ারের দাম এক মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বাড়লে সেটি খতিয়ে দেখতে পারবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

এক মাসের মধ্যে কোনো কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ আগের ছয় মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি বাড়লে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবধান থাকলে, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে কোনো কোম্পানির দাম ও লেনদেন ৩০ শতাংশের কম-বেশি হলে সেগুলো খতিয়ে দেখবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসূচককে বলে, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এটি মূলত তদন্তের জন্য একটি গাইডলাইন, যাতে কোন পরিস্থিতিতে তদন্ত করা যাবে তা সহজেই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে।

তিনি বলেন, তদন্তের জন্য কোনো ক্রাইটেরিয়া না থাকায় অনেক সময় নানা প্রশ্ন তুলতেন বিনিয়োকারীরা। শেয়ারের দাম কতটুকু বাড়লে সেটিকে আমলে নিয়ে তদন্ত পর্যায়ে যে হবে সে বিষয়ে কোনো ক্রাইটেরিয়া বা বেঞ্চমার্ক না থাকায় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন। আজকের নির্দেশনার ফলে এই জটিলতার অনেকটা-ই অবসান হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বার্থজনিত সংঘাত (Conflict of Interest) এড়াতে স্টক এক্সচেঞ্জকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র আশা প্রকাশ করেন, এই নির্দেশনা বাজারের গতিশীলতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.