এমপি পাপুল পরিবারের অর্থপাচার: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথি তলব

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কুয়েতে কারাবন্দি শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও তাদের মেয়ে ওয়াফা ইসলামের অর্থপাচার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত সমস্ত নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্যে আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। নথিতে আরেক তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানের স্বাক্ষর নেই কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গতবছরের ১১ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখার অপরাধে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযাগে এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয় এজাহারে।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ভিসা বিক্রির অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠানের মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দের খবর বের হয়। একই বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পাপুলকে গ্রেপ্তার করে সেদেশের কারাগারে পাঠায়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.