দিদার শেষযাত্রায় নাতি-নাতনিদের নাচ ভাইরাল

পরিবারের কেউ মারা গেলে মন খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। তখন নাচ-গান আর আনন্দ করার মতো মানসিক অবস্থা থাকে না কারও। তবে একেবারেই বিপরীত ঘটনা ঘটল ভারতের দিঘায়। ১২০ বছর বয়সী দিদার মৃত্যুকে কার্যত উৎসবের চেহারা দিলেন নাতি-নাতনিরা। ব্যতিক্রমী এ ঘটনায় অবাক সকলে।

দিঘা থানার দক্ষিণ শিমুলিয়ার বাসিন্দা মাহেশ্বরী চন্দ। বেশ অল্প বয়সে বিয়ে হয় তার। তারপর থেকে সংসারকে সন্তান স্নেহে আগলে রেখেছিলেন তিনি। ছোট ছোট পরিবারের যুগেও একান্নবর্তী পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন। ১২০ বছর বয়সী ওই মহিলার কমপক্ষে ৫৬ জন নাতি ছিলেন। দিব্যি কাটছিল জীবন। তেমন রোগ ভোগও করেননি। তবে আচমকাই যেন বদলে গেল সব কিছু। পরলোকের ডাক অগ্রাহ্য করতে পারলেন না বৃদ্ধা। প্রাণ হারালেন। তার মৃত্যু নাতি-নাতনি এবং পরিবারের অন্যান্যদের দুঃখ দিয়েছে ঠিকই। তবে কঠিন বাস্তবকে মেনে নিতে বিশেষ সমস্যা হয়নি তাদের।

পরিবর্তে শেষকৃত্যের অভিনব আয়োজন করেন নাতি-নাতনি। হরেক রকম ফুলে সাজিয়ে দেওয়া হয় খাট। আর পাঁচজন শ্মশানযাত্রীর মতো শুধু খই ছড়ানো হল না। রাস্তায় ছড়ানো হল ফুলও। ওড়ানো হল আবির। ফাটল আতস বাজি। এইটুকু পড়ে অবাক হবেন না। তালিকা আরও লম্বা। শবযাত্রীরা ব্যান্ড বাজিয়ে উদ্দাম নাচানাচি করেন। এভাবেই এগোতে থাকে বৃদ্ধার শববাহী মিছিল। শ্মশানের সামনে গিয়ে শেষ হয় নাচানাচি।

এমন অভিনব শবযাত্রা অবাক করে দিয়েছে গোটা দিঘাকে। পর্যটক কিংবা স্থানীয় মানুষ, সকলেই ব্যতিক্রমী কাণ্ড কারখানা দেখে থমকে দাঁড়িয়েছেন। কেউ কেউ অবাক হয়েছেন। আবার কেউ এ ধরনের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.