সীমান্তে কোনো সুড়ঙ্গ পায়নি বিজিবি

বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গোপন সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম। তবে ওই সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ ধরনের কোনো সুড়ঙ্গ খুঁজে পায়নি।

ভারতের ওই পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে- ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ২০০ মিটার লম্বা একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে দেশটির পুলিশ। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। করিমগঞ্জের বিপরীত দিকে রয়েছে বাংলাদেশের সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা। কুশিয়ারা-সুরমা নদী ভাগ করে রেখেছে দুই দেশের সীমান্ত।

ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলেছে, তারা এ ধরনের কোনো সুড়ঙ্গের খোঁজ পায়নি।

বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়ন জকিগঞ্জের দায়িত্বরত অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সংবাদ শুনে আমরা খোঁজ নিয়েছি। জকিগঞ্জের কোথাও কোনো ধরনের সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, জকিগঞ্জ সীমান্ত এলাকা যেহেতু নদীবেষ্টিত সেহেতু নদীর তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গ থাকার প্রশ্নই ওঠে না।

ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যম বলছে, করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার থানা এলাকার মধ্যে পড়েছে এলাকাটি। এ গোপন সুড়ঙ্গপথে যাতায়াত ছিল দুই দেশের সীমান্তের আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি আর দুষ্কৃতকারীদের। সীমান্তের চোরাচালান, মানবপাচারের বিচরণক্ষেত্র ছিল এটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও বিবিসি বাংলার খবর অনুযায়ী, গত রোববার আসামের করিমগঞ্জে একটি গ্রামের একজন বাসিন্দাকে অপহরণ করা হয়। পরে তার বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। যে নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল সেটা বাংলাদেশের নম্বর ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

এরপর গত বুধবার অভিযোগ পাওয়ার পর করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ তদন্তে নেমে এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই সুড়ঙ্গটির খোঁজ পায় তারা। একপর্যায়ে অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। খবর অনুযায়ী, একেবারে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থান ওই সুড়ঙ্গ পথের। একটু দূরেই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া।

ভারতীয় পুলিশ আরও বলছে, সুড়ঙ্গটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তারা দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে জানিয়েছে। তারা এসে সুড়ঙ্গপথের ভারতীয় অংশের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.