সিরিজ বয়কটের হুমকি ভারতের!

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে জমে উঠেছে মাঠের বাইরের লড়াইও। দ্বিতীয় ঢেউতে করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুইন্সল্যান্ড সরকার ইতোমধ্যে কঠোর জৈব সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছে। আর এ কারণেই সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে ব্রিসবেনে যেতে অনীহা ভারতীয় দলের। এমনকি কুইন্সল্যান্ড সরকার তাদের নীতিতে নমণীয় না হলে শেষ টেস্ট বয়কটের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে ভারত। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেট ভিত্তিক পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজের তৃতীয় টেস্টের ভেন্যু সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। কিন্তু কুইন্সল্যান্ড সরকার থেকে ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলসের সীমান্ত। সেখান থেকে শেষ ম্যাচ খেলতে ব্রিসবেনের উদ্দেশ্যে চাটার্ড ফ্লাইট ধরে দুই দলেরই উড়াল দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরে খেলা বা অনুশীলন ব্যতীত হোটেল রুম থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে স্বাগতিক খেলোয়াড়দের। যদিও অতিথি দলকে এখনো তেমন কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। এমনটিই বলা হয়েছে জনপ্রিয় দৈনিক ‘দ্যা অস্ট্রেলিয়া’তে।

ব্রিসবেনে অনুমিতভাবেই কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে হবে সফরকারীদেরও। লকডাউন ও কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সময়ে কঠোর সুরক্ষা বলয়ে থেকেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়্ররা। লিগ শেষে অস্ট্রেলিয়াগামী দলটি দুবাই ও সিডনি মিলিয়ে প্রায় এক মাস কোয়ারেন্টাইন পালন করেছেন। আর এ কারণেই সফরের শেষ ম্যাচে নতুন ভাবে কোয়ারেন্টাইন পালন করতে আগ্রহী নন তাঁরা বলে জানিয়েছেন ভারতীয় দলের এক বিশ্বস্ত সূত্র।

এ প্রসঙ্গে সূত্র বলেছে, ‘আমরা যা বলছি তা হলো আমাদের ছেলেরা বিগত প্রায় ছয় মাস ধরে ভিন্ন ভিন্ন লকডাউন ও সুরক্ষা বলয়ে থেকেছে। আর এটি কারো জন্যই সহজ নয়। আমরা মাত্র দ্বিতীয় দল যাদের মহামারী চলাকালীন সফর নিয়ে কোন ধরণের সমস্যা ছিলোনা। এত কিছুর পরে আমরা চাইনা আমাদের আরো নতুন একটি কঠিন বলয়ে প্রবেশ করানো হোক। যা ব্রিসবেনে ঘটতে যাচ্ছে। আপনি যদি দেখেন আমরা দুবাইয়ে ১৪ দিন ও অবতরণের পরে সিডনিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন মেনেছি। এর অর্থ হলো আমরা প্রায় এক মাস কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেছি। আর সিরিজের শেষ পর্যায়ে এই কোয়ারেন্টাইন আমরা আবারো মানতে চাইনা।’

মেলবোর্নে বর্ষ বরণের রাতে রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, পৃথ্বি শ, ঋষভ পান্ত এবং নবদ্বীপ সাইনিরা জৈব সুরক্ষা নিয়ম ভেঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। এ কারণে ইতোমধ্যেই তাদের পাঁচজনকে আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও তৃতীয় ম্যাচের আগে তাঁরা দলে ফিরতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি। চার ম্যাচের সিরিজের অর্ধেক শেষে ১-১ এ সমতায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ৭ জানুয়ারি সিডনিতে। আর সূচি অনুযায়ী ব্রিসিবেনে ১৫ জানুয়ারি থেকে সিরিজের শেষ টেস্ট খেলে লম্বা সফরের ইতি টানবে ভারত।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.