মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি আয়শা খানম মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ শনিবার (০২ জানুয়ারি) ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ খবর জানিয়েছেন।

ওই বার্তায় বলা হয়, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন আয়শা খানম। ছাত্র জীবন শেষে বঞ্চিত অধিকারহীন নারীদের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।

মরদেহ সকাল সাড়ে আটটায় সেগুন বাগিচাস্থ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনা হবে। এরপর নেত্রকোণায় নিজ গ্রামে দাফন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আয়শা খানম দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। গতকাল শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং আজ শনিবার ভোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নেত্রকোনা ও দুর্গাপুরের মাঝখানে গাবড়াগাতি গ্রামে ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম আয়েশা খানমের। বাবা গোলাম আলী খান এবং মা জামাতুন্নেসা খানম।

হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক আয়েশার।

তবে ১৯৬৬ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনে পুরোপুরি সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ফলে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সেসবগুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন।

১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং সংগ্রামী নেত্রী আয়েশা খানম বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া রোকেয়া হলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব ছিল মূলত আয়েশা এবং তার সহকর্মী ছাত্র নেতাদের ওপর।

এছাড়া ছাত্র নেতা হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধিকার আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও সচেতনতার কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.