ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, অন্যান্য জাতির সাথে ইরানি জাতির পার্থক্য হলো- ইরানি জাতি আমেরিকাকে আগ্রাসী, মিথ্যাবাদী এবং প্রতারক বলার সাহস রাখে। কিন্তু অন্যরা সাহস দেখায় না এবং তাদের ভূমিকা পালন করে না। যখন এটা করা হয় না তখন ফলও পাওয়া যায় না। গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সব দাম্ভিক শক্তি ইরানের বিরুদ্ধে চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানি জাতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি বরং অগ্রগতি লাভ করেছে। আজকের ইরান আর ৪০ বছর আগের ইরান এক নয়। আমরা সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছি।
ইরানে অনুষ্ঠিত ৪১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, ক্বারী ও হাফেজদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মুজিযা আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকাকে মানবতা তথা গোটা বিশ্বের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ হিসেবে উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কুরআন নিয়ে কাজ করার সময় ও তেলাওয়াত করার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে সর্বশেষ নবীর মুজিযা আমার সামনে। পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর আস্থা) সম্পর্কে ব্যাখ্যা তুলে ধরতে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পবিত্র কুরআনে যেমনটি বলা হয়েছে কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট; আল্লাহর ওপর নির্ভরতার শর্তাবলী পূর্ণ হলে এই ঐশী প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কুরআন এক চিরন্তন মুজিযা। এই মুজিযার সঙ্গে অন্যান্য মুজিযার পার্থক্য হলো, অন্যান্য মুজিযা সম্মানিত নবীর যুগের সাথে সম্পর্কিত। মূসা (আ.)’র লাঠি কেবল ঐ যুগের মানুষ দেখতে পেত। কিন্তু ইসলামের নবীর মুজিযা পবিত্র কুরআন হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ দেখতে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে। যদি বলা হতো যে, গাজা আমেরিকার সরকারের মতো একটি বৃহৎ শক্তির সাথে লড়াই করবে এবং গাজা তাতে বিজয়ী হবে। তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করতেন?! না, বিশ্বাস করতেন না। এগুলো অসম্ভব বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় তা সম্ভব হয়েছে। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.