ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রী কারাগারে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করায় দুদকের মামলায় ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন, একইসঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

বুধবার ভোরে লায়লা কানিজকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেফতারর করে ডিবি।

আবেদনে বলা হয়, আসামি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করেছেন মর্মে দেখা যায়। এই ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে অন্য কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা, তা উদঘাটন করা প্রয়োজন। এছাড়া তার অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের বিষয়টিও উদঘাটন করা প্রয়োজন। এজন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে। এসব সম্পদ অর্জনে মতিউর রহমানের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়। এজন্য তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কোরবানি ঈদে ১৫ লাখ টাকায় ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এর পর থেকে তার বিলাসী জীবনযাপনের নানা তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই ছাগলকাণ্ডের জেরেই আলোচনায় আসেন ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তখন মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন, মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.