বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নোয়াখালীর হাতিয়ার ২৭ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যায়নি। আরও ১০০ জেলেসহ এখনো ঘাটে ফেরেনি ৬টি ট্রলার। এসব ট্রলারের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ১১টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় সাগরে থাকা ট্রলারগুলো প্রায় শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা ও উপজেলা প্রশাসন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, গত দুই দিনে হাতিয়ার বিভিন্ন ঘাটে ও নদীর তীরে ছোট-বড় ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ট্রলারের মাঝিমাল্লারা সাঁতরে ও অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় তীরে উঠে আসেন। তবে এসব ঘটনায় নিঝুম দ্বীপের একজন এবং আমতলী ঘাটের চারজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাঁর কাছে তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা বিভিন্ন ট্রলারের উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছে। এরই মধ্যে অনেক জেলে ফিরে এসেছেন। তবে এখনো নিঝুম দ্বীপের একজন এবং আমতলী ঘাটের চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান করা যাচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে ট্রলার মালিকরাও ট্রলার নিয়ে চেষ্টা করছেন।
হাতিয়া আমতলী ঘাটে স্থানীয় জেলেরা জানিছে, নিখোঁজ ২৭ জেলের মধ্যে আমতলী ঘাটের কামরু মাঝির ট্রলারের ১৫ জন রয়েছেন। এই ট্রলারের ১৭ জনের মধ্যে দুজনকে কক্সবাজারের একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে। একই ঘাটের রহিম মাঝির ট্রলারের ১২ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রলারের ১৪ মাঝিমাল্লার মধ্যে দুজনকে নিঝুম দ্বীপের একটি ট্রলার উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন।
অর্থসূচক/এএকে/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.