ব্যবসার নামে অর্থ লুটপাট ও আত্মসাৎকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ কথা জানান তারা।
আলোচনা সভা শেষে, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, যারা সম্পদ লুট করেছে, অন্যায়ভাবে সম্পদ আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গভর্নরকে বলে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে আমরা (ব্যবসায়ী) আছি।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে। পাচার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণের কিস্তির সময় বাড়ানোর কথা বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা না করা হলে অনেকেই ডিফল্ডার হয়ে পড়বেন।
তিনি বলেন, ডলারের এক্সচেঞ্জের কারণে লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য গভর্নরকে বলেছি। অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ও বলা হয়েছে। সরকারের সব ভালো পদক্ষেপ এবং দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা পাশে থাকবেন।
বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইডিএফ এর ফান্ড কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি–রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। তিন মাস কিস্তি পরিশোধ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬ ব্যাংকের কার্যক্রম সীমিত করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংকিং পলিসি সবগুলো সঠিক ছিল না, সেগুলো সংশোধন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতির কথা বলেছি। গভর্নর বলেছেন আগামী ৬–৭ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। সুদের হার নিয়ে কথা হয়েছে। ইডিএফ অনিয়ম, যারা দুর্বৃত্তায়ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে থাকবে ব্যবসায়ীরা।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.