রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশের পরই ধস নেমেছে পেটিএমের শেয়ারে

২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ব্যাংকিং পরিষেবা দিতে পারবে না ভারতের বেসরকারি ব্যাংকিং সংস্থা পেটিএম। দেশটির রিজার্ভ ব্যাংক বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। শীর্ষ ব্যাংকের এ নির্দেশের পর থেকেই ধস নেমেছে পেটিএমের শেয়ারে।

বৃহস্পতিবার (১ জানিয়ারি) এক ধাক্কায় বেসরকারি ব্যাংকিং সংস্থার শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ কমে গিয়েছে। বুধবার পেটিএমের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৭৬১ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার সকালে তা কমে দাঁড়ায় ৬০৯ টাকায়।

রিজার্ভ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর আর ব্যাংকিং পরিষেবা দিতে পারবে না পেটিএম। এরপর এই ব্যাংকিং সংস্থা কোনো গ্রাহকের পেটিএম অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট বা ফাসট্যাগে নতুন করে টাকা জমা নিতে বা ক্রেডিট লেনদেন করতে পারবে না।

এই ঘোষণার পরেই ধস নেমেছ পেটিএমের শেয়ারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ পেটিএম ব্যাংকিং পরিষেবা গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। পেটিএম অ্যাকাউন্টে জমা টাকা হাতছাড়া হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিলো গ্রাহকদের মনে। গ্রাহকদের সেই সংশয় দূর করেছে পেটিএম।

পেটিএম জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং ওয়ালেটে জমা থাকা আমানতের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রভাব পড়বে না পেটিএমের ফাসট্যাগ বা এনসিএমসি অ্যাকাউন্টে জমা থাকা টাকাতেও।

শীর্ষ ব্যাংক  জানিয়েছিল, পেটিএম অ্যাকাউন্টে টাকা জমা থাকলে তা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকেরা। সেভিংস এবং কারেন্ট, দুই অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারির পরেও ওই গ্রাহকেরা পেটিএম অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে টাকা দিতে পারবেন। পেটিএমের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই লেনেদেন কোনো সমস্যা হবে না।

নির্দেশনার কারণ সম্পর্কে আরবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘ক্রমাগত নিয়ম লঙ্ঘন’ এবং তত্ত্বাবধানের অভাবেই এই কড়া পদক্ষেপ। ২০২২ সালেই আরবিআই পিবিবিএলকে নির্দেশ দিয়েছিল, কোনো নতুন গ্রাহক গ্রহণ করা যাবে না। তার পরই মনে হয়েছে যেকোনো সময় পেটিএমের ব্যাংকিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, তাই হলো।

একটি বিবৃতিতে, পেটিএম’র প্রধান সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনস (ওসিএল) জানায়, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংক লিমিটেড (পিপিবিএল) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা সমাধানের জন্য রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তবে রিজার্ভ ব্যাংক যে নির্দেশ দিয়েছে, তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জানিয়েছে ওসিএল।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.