বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে রইল বাংলাদেশ

রোহানাত দোল্লাহ বর্ষণের সঙ্গে বল হাতে আলো ছড়ালেন স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন। তাদের দুজনের সাত উইকেটে নেপাল গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৯ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় জিসান আলমের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে আরিফুলের ইসলামের ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ঝড়ে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।

জয়ের জন্য ১৭০ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। আশিকুর রহমান শিবলি খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও নেপালের বোলার ওপর শুরু থেকেই চড়াও ছিলেন জিসান। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬১ রান তোলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য জুটি ভাঙে আশিকুর ও জিসানের। সুভাস ভাণ্ডারির বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন আশিকুর। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় লং অনে থাকা গুলশান ঝার হাতে ধরা পড়তে হয় ৩৪ বলে ১৬ রান করা বাংলাদেশের এই ওপেনারকে। তিনে নেমে চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ানও আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন।

এদিকে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা জিসান হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৯ বলে। তিনে নামা রিজওয়ান ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সুভাসের বলে আশিকুরের মতোই উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন রিজওয়ান। তবে বলের টার্নের কাছে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন ১১ বলে ১৫ রান করা এই ব্যাটার।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জিসানও। বাংলাদেশের এই ওপেনারকেও ফিরিয়েছেন সুভাস। বড় শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড উইকেটে থাকা দেব খানালকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলা জিসান। এরপর জুটি গড়ে তোলেন আহরার আমিন ‍ও আরিফুল। যদিও তাদের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি সুভাস।

১২ রান করে আহরার বোল্ড হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। তবে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন আরিফুল। এদিকে শিহাব জেমসকে ফিরিয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন সুভাস। যদিও বাংলাদেশের জয় আটকাতে পারেননি নেপালের এই বোলার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া আরিফুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানের ইনিংস খেলে। তাকে সঙ্গ দেয়া জীবন ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে নেপাল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন বিশাল বিক্রম। এ ছাড়া ৩৫ রান এসেছে অধিনায়ক দেবের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে রোহানাত বর্ষণ চারটি এবং পারভেজ জীবন নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

নেপালের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে রইল মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে সেরা চারে যাওয়ার সুযোগ থাকবে টাইগার যুবাদের।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.