গাজায় সাংবাদিক মৃত্যুর তদন্ত চায় জাতিসংঘ

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বহু সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এক্স-এ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর বা জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন।

তাদের বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখনো পর্যন্ত বহু সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রতিটি মৃত্যুর স্বাধীন তদন্ত হওয়া উচিত। শুধু তদন্তই নয়, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়ার কথাও বলা হয়েছে জাতিসংঘের ওই বিবৃতিতে।

সম্প্রতি আল-জাজিরার দুই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। তারপর সাংবাদিক-মৃত্যু নিয়ে সোচ্চার হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন।

এদিকে সাউথ ক্যারোলিনায় নির্বাচনী প্রচারে গেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের সামনে তার বক্তৃতা ব্যাহত হয়। গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। বাইডেন তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, প্রতিবাদ সংগত। গাজায় যাতে বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। পাশাপাশি ইসরায়েলের সেনা এবার ধীরে ধীরে যাতে গাজা ছেড়ে বার হতে শুরু করে, তার প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে প্রচুর নারী ও শিশু আছে।

রবিবার কাতারে গিয়ে মার্কিন মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, গাজার বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। ব্লিংকেন সৌদি আরব, আরব আমিরাতেও সফর করবেন। সপ্তাহান্তে তিনি ইসরায়েলে পৌঁছাবেন।

এদিকে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। ওয়েস্ট ব্যাংকে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এর আগে ওই অঞ্চলের একটি গ্রামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন বেয়ারবক। ওয়েস্ট ব্যাংকে কীভাবে ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা হচ্ছে, সে কথা শোনেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে এক প্রথম সারির হেজবোল্লাহ নেতা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হামলায় ওই নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। তার গাড়িতে বোমা ফেলা হয় বলে এখনো পর্যন্ত জানা গেছে। গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরু হওয়ার পরেই লেবাননে হেজবোল্লাহের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে ইসরায়েলের সেনার। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.