হাইকোর্টে রিট করেও প্রার্থীতা ফিরে পেলেন না ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট।
ইসির রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শামীম হক। কিন্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তার রিট খারিজ করে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম (এ কে) আজাদ। তার আপিল মঞ্জুর করায় শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়। শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক- এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন।
অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকছে। শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট সাঈদ রাজা ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী এ একে আজাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম।
এ কে আজাদের আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের জানান, শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করতে ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন। দরখাস্তে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নম্বর কলামে অন্য দেশের নামের জায়গায় নেদারল্যান্ডস উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে শামীম হক বলেছিলেন, ‘আমি নেদারল্যান্ডসের নাগরিক ছিলাম। তবে সম্প্রতি আমি ওই নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস জানিয়েছে, আমার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.