মাস্ক এম্বুলেন্স সভা-সেমিনার ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে এফপিএবি

সরকারের পাশাপাশি মহামারি কোভিড-১৯ বাঁচতে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এফপিএবি)। ২০২০ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে মাস্ক বিতরণ, এম্বুলেন্স সহায়তা, সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার ও পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি। জেলা পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় এফপিএবি সদস্য, মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কোভিড পরীক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করেছে তারা।

গত ১২ নভেম্বর এফপিএবির জাতীয় কার্যালয়ে কোভিড-১৯ টেস্ট এন্ড ট্রিট এডভোকেসি ইন এলএমআইসি প্রকল্পের এডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আবদুল্লাহ হারুন। সভা সভাপতিত্ত করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন ভূঞা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোভিড-১৯ সহ, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যহীনতা, অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ, সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত যৌনজীবন উপভোগের জন্য যুব-জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে আসছে এফপিএবি। সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। সরকার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু করলে এফপিএবি সরকারের সম্পূরক ও পরিপূরক সংস্থা হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে ২৩টি জেলায় ২১টি পূর্ণাঙ্গ ক্লিনিক, ২টি বিশেষ কর্ম ইউনিট, ৭২টি এফডিসি, ২১টি তারার মেলা (যুব বান্ধব ক্লিনিক) ও সিবিডি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৫০ লক্ষ জনগনের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। যার মধ্যে ৫৩ শতাংশ যুব জনগোষ্টি।

অনেক সমস্যার মুখোমুখি হলেও লকডাউন চলাকালীন সময়েও সাহসের সাথে কাজ করেছেন সংগঠনের কর্মীরা। এক্ষেত্রে এফপিএবির ২০টি শাখা ক্লিনিক, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি, স্ক্রিনিং প্রটোকল,কর্মী সুরক্ষা নীতি, কোভিড -১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ এবং সুরক্ষা সামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আমরা এখনও কোভিড-১৯ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারিনি। তুলনামূলক কম হলেও করোন আক্রান্ত হয়ে এখনও মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি মানুষ, গর্ভবতী নারী, দূর্গম এলাকা ও দ্বীপে বসবাসকারী, ৩৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ডায়াবটেসি আক্রান্ত, গুরুতর কার্ডিওভাসকুলার রোগ, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসরে রোগ, দীর্ঘস্থায়ী লভিার বা কডিনি রোগ, ক্যান্সার আক্রান্ত ও টিকাবিহীন মানুষ এখনও আশঙ্কার বাইরে নন। তাই কোভিড থেকে বেচে থাকতে সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.