গাজা ছাড়ার সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭০ ফিলিস্তিনি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক হামলা অষ্টম দিনের মতো চলছে। গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় গাজা শহর থেকে পালাতে গিয়ে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

এসব ফিলিস্তিনি ইসরাইলি আল্টিমেটাম মেনে গাজা শহর থেকে উপত্যকার দক্ষিণে তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য এক কাপড়ে বেরিয়েছিলেন; যদিও গাজা উপত্যকায় এখন আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত এ হামলায় অন্তত ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৬১৪ শিশু ও ৩৭০ জন নারী রয়েছে। এছাড়া ইসরাইলি বোমাবর্ষণে আহত হয়েছেন আরো ৭ হাজার ৬৯৬ জন ফিলিস্তিনি।

হামাসের গণমাধ্যম অধিদপ্তর জানিয়েছে, পলায়নরত এসব ফিলিস্তিনির গাড়ির বহরে তিন স্থানে আলাদা আলাদা বোমাবর্ষণ করে ইহুদিবাদী সেনারা। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী শনিবার সকালে গাজা শহর থেকে সরে যাওয়ার জন্য সেখানকার ১১ লাখ অধিবাসীকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়। তেল আবিব গাজা শহরে স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে।

এদিকে অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরেও চলছে ইসরাইলি সেনাদের পাশবিকতা। শুক্রবার গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে পশ্চিম তীরে মিছিল বের হলে সেখানে নির্বিচারে গুলি চালায় দখলদার সেনারা। এতে অন্তত ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ, তুলকারাম, নাবলুস ও আল-খলিল (হেবরন) শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শুক্রবারের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শুধুমাত্র পশ্চিম তীরে ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.