ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোচ-অধিনায়ক ভালো বলতে পারবে: শান্ত

বিশ্বের বেশিরভাগ দলের সেরা ব্যাটারকে দেখা যায় তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে। প্রতিভাবান শান্তকে সেই ভাবনা থেকেই গত দুই বছর ধরে শান্তকে তিন নম্বরের জন্য প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে ভালো না করলেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন শান্ত। বিশেষ করে ২০২৩ সালে নিজের সেরা ছন্দে আছেন।
নিজের ক্যারিয়ারের ৯৭৪ রানের মাঝে ৭৬৩ রান করেছেন তিন নম্বর পজিশনে। অথচ সেই ব্যাটার বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে খেলেছেন ভিন্ন দুই পজিশনে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনে খেললেও আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছেন ৪ নম্বরে। রশিদ খানদের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করলেও কিউইদের বিপক্ষে ব্যর্থ বাঁহাতি এই ব্যাটার।

বিশ্বকাপে খেলা তিন ম্যাচেই ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন হয়েছে বেশিরভাগ ব্যাটারের। নিজেদের পছন্দের পজিশন হারানোর প্রভাব পড়েছে ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে। বিশ্ব মঞ্চে এসে ব্যাটিং অর্ডারের এমন পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তাওহীদ হৃদয়। অভিষেকের পর থেকে ২০ ম্যাচের ১০টিতেই তিনে ব্যাটিং করেছেন তিনি। যেখানে পাঁচে খেলে ১০ ইনিংসে করেছেন ৩৪৮ রান। বাকি পজিশনে ব্যাটিং করে হৃদয়ের রান ৯ ম্যাচে করেছেন ২২২ রান। পাঁচে এমন পারফর্ম করা ব্যাটারকে বিশ্বকাপে খেলতে হয়েছে ৭ নম্বর পজিশনে। যেখানে দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন হৃদয়।

ব্যাটিং পজিশনে ঠিক নেই মেহেদী হাসান মিরাজেরও। তিন ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন দুই পজিশনে। ব্যাটিং অর্ডারের এমন পরিবর্তন ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। সবশেষ দুটি ম্যাচের একটিতেই ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি সাকিবের দল। এমন পরিবর্তনে ব্যাখ্যা দিতে পারেননি শান্ত।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘এটা কোচ এবং অধিনায়ক বলতে পারবে। আমরা যারা ব্যাটিং করি আমরা সবাই জানি কে কখন ব্যাটিং করবে। কিন্তু এটার পেছনের কারণ অধিনায়ক এবং কোচ আরও পরিস্কার করে বলতে পারবে।’

এমন পরিবর্তনে ব্যাটারদের নতুন পজিশনে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘সত্যি বলতে একটু তো মানিয়ে নিতেই হয়। আমার মনে হয় এখানে সবার সেই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকার দরকার যেকোন সময় যেকান জায়গায় ব্যাটিং করা। এটা বলব না যে হঠাৎ করেই হয়। সব ব্যাটাররাও জানে। এটা নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি প্রয়োজন মন হচ্ছে না। অধিনায়ক এবং কোচ যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.