ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ভিসামুক্ত সম্পর্ক চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ভিসামুক্ত সম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়ে নীতিগতভাবে বাংলাদেশ ও ভারত এক। কোনও একটা কারণে এটি আটকে আছে, সময়ের সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিলেটে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিলচরের পর এই ডায়লগ উভয় দেশের নানা প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে খোলামেলা কথা হয়েছে। আপনারা শুনে খুশি হবেন, উভয় দেশের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছি। প্রথম দিনে পাঁচটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছি। পাঁচটির একটি ইকোনমিক, আরও আরও বিনিয়োগ।

তিনি বলেন, এ ছাড়া বিদ্যুৎ সমন্বয়ের কথা বলেছি। আমরা ভারত থেকে ১ হাজার ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনি, আরও কিনতে চাই। নেপাল থেকেও এনার্জি কিনতে ভারত আমাদের সাহায্য করবে। তাছাড়া দেশের নদীগুলোর কথা বলেছি, যাতে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হয়। আগে নানা কারণে সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটতো। এখন সেগুলো কমেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নীতিতে কাজ করছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই দেশ আগামীতে আরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে কাজ করবে। দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। সম্পর্ক ভালো থাকায় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় অনেকটা কমে গেছে। এবারের সংলাপে একটাই চাওয়া, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কোনো জটিলতা যেন না থাকে। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক যেন ভিসাবিহীন হয়।

সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ’র উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে ছয়জন মন্ত্রী এবং ২০ জন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সংলাপ উপলক্ষে ভারত থেকে ১৪০ জনের প্রতিনিধিদল সিলেটে এসেছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.