ইবাদত না থাকায় ক্ষতি, লিটনের অফ-ফর্ম নিয়ে চিন্তিত নন হাথুরুসিংহে

গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ের সময় বাম হাঁটুতে চোট পান ইবাদত হোসেন। এরপর শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি এই টাইগার পেসার। সেই সময় জানা গিয়েছিল এই পেসার দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠবেন। যদিও মাস খানেক পরও চোট থেকে সেরে উঠতে পারেননি ইবাদত। উল্টো এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে গেছেন তিনি। তার বিকল্প হিসেবে তানজিম হাসান সাকিবকে দলে নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে সাম্প্রতিক সময় ব্যাট হাতে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের মতো মেগা ইভেন্টের আগে অফ-ফর্মে বাংলাদেশের এই ওপেনার। সম্প্রতি কানাডা টি-টোয়েন্টি লিগ আর লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে বেশীরভাগ ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন লিটন। কানাডায় সারে জাগুয়ার্সের হয়ে আটটি ম্যাচে ২১.৭১ গড় এবং ১০০.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ১৫২ রান করেন তিনি। আর গল টাইটান্সের হয়ে তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে লিটন করেন যথাক্রমে ১, ৮ এবং ২৫ রান। ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপের আগে অবশ্য লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সে বিচলিত নন হাথুরুসিংহে।

এদিকে ইবাদতের চোটকে এশিয়া কাপের আগে বড় ধাক্কা হিসেবেই মানছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এশিয়া কাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে দুজনই সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, আপনারা জানেন ইবাদত আমাদের ইমেপক্টফুল বোলারদের একজন। আমাদের পাঁচজন ফাস্ট বোলারের মধ্যে যারা শেষ কয়েকটি সিরিজে খেলেছে তাদের মধ্যে সে দ্রুতগতির বোলারও। তাই এটা আমাদের জন্য বড় ক্ষতি এবং তার বিকল্প বের করা আমাদের জন্য কঠিন কাজ। আশা করছি সে দ্রুত সেরে উঠবে।

ইবাদতের না থাকাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন সাকিব। টাইগার অধিনায়ক ভাষ্য, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইবাদত আমাদের সঙ্গে যেতে পারছে না। সে আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে জায়গা থেকে এটা আমাদের জন্য একটা ধাক্কা। তারপরও সে ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি এবং যে ধরনের স্কোয়াড আছে আমরা আশাকরি অনেকদূর যেতে পারবো।’

বাংলাদেশের হেড কোচ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না, এই মুহূর্তে তার ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। সে সম্প্রতি কানাডা ও শ্রীলঙ্কায় খেলে এসেছে। ওখানে সে কী স্কোর করেছে, সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবতে চাই না। কারণ, এমনিতেও ওই টুর্নামেন্টগুলোয় খুব বেশি রান হয়নি। আর সামনে যেহেতু এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় আসর রয়েছে, সেগুলোতে সে ছন্দে ফিরে আসবে, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

ব্যাট হাতে ২০২২ সালটা স্বপ্নের মতো গেছে ওপেনার লিটন দাসের। গত বছরে তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বাংলাদেশ দলের বর্তমান সহ-অধিনায়ক। গত বছর সবমিলিয়ে এক হাজার ৯২১ রান করেন এই ওপেনার। হাথুরুসিংহে আরও বলেন, ‘সে জানে সে আরও ভালো করতে পারে। আমরাও বিশ্বাস করি, সে এর চেয়ে ভালো করতে সক্ষম। সেটা সে দেখিয়েছে। অবশ্যই গত দুই বছর সে ফর্ম দেখিয়েছে, সে আমাদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিল। তাই আমরা তার কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সই আশা করি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.