পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ চেয়ে করা রিট খারিজ করেছেন আদালত। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে সংবিধান লঙ্ঘন বা শপথ ভঙ্গ কোনোটিই হয়নি। সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদকে আঘাত মন্ত্রীর বক্তব্য।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন রাশেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।
অবান্তর বক্তব্য দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন ও শপথ ভঙ্গের অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৫ সেপ্টেম্বর রিট দায়ের করেন এক আইনজীবী।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
এর আগে গত ২১ আগস্ট একই অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ। নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে যে অনুরোধ জানিয়েছেন, আপনি তা করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.