চতুর্থ দিনের শুরু থেকে ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেলের ব্যাটে তাকিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু প্রথম দুই টেস্টে কিউইদের ঘুরে দাঁড়ানোর নায়করা এ দিন খুব বেশি কিছু করতে পারেনি। ফলে প্রথম ইনিংসে ৩২৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৬ রান করেছে কিউইরা। ২৯৬ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ড করেছে দুই উইকেটে ১৮৩ রান। ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করতে তাদের প্রয়োজন ১১৩ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সতর্ক শুরু করে ইংল্যান্ড। যদিও এ দিন সুবিধা করতে পারেননি ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস এবং জ্যাক ক্রলি। লিস ১৮ বলে ৯ রান করে কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত থ্রো’তে রান আউট হন। পাঁচ ওভারে প্রথম উইকেট হারানো ইংল্যান্ড দ্বিতীয় উইকেট হারায় ১৩তম ওভারে। মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্রলি। ফেরার আগে করেন ৩৩ বলে ২৫ রান। ৫১ রানের মাঝেই দুই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
বাকি গল্পটা শুধুই অলি পোপ এবং জো রুটের। অসাধারণ খেলে দুজনই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এখন পর্যন্ত অবিছিন্ন জুটি গড়েছেন ১৩২ রানের। পোপ ৮১ এবং রুট ৫৫ রানে থেকে শেষ দিন শুরু করবেন।
এর আগে ব্যক্তিগত ৪ ও ৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিলেন মিচেল ও ব্লান্ডেল। এ দিন শুরু থেকেই ইতিবাচক ভঙ্গিমায় খেলছিলেন তারা। দেখেশুনে খেলে আগে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিচেল। তবে আগের দুই টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া মিচেলকে এ দিন বেশিদূর যেতে দেননি ম্যাথু পটস। মিচেলকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। ফেরার আগে ১৫২ বলে ৫৬ করেন মিচেল।
এরপর টেল এন্ডারদের সহায়তায় দলের রান বাড়াতে থাকেন ব্লান্ডেল। শেষ পর্যন্ত ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসে ছিল ১৫টি চারের মার। মিচেল ফেরার পর ব্লান্ডেলকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৬ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন জ্যাক লিচ। একই পরিমাণ রান খরচায় তিন উইকেট নেন ম্যাথু পটস।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.