ক্রিকেট মাঠে আম্পায়াররা খালি চোখে সিদ্ধান্ত নেন। যেকারণে মাঝে-মধ্যে ভুল হতেই পারে। আর তাই রিভিও পদ্ধতি চালু রেখেছে আইসিসি। কিন্তু ডারবান টেস্টে যেন ভুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই আম্পায়ার মরিস এরাসমাস এবং আডরিয়ান হোল্ডস্টক। ডারবানের এমন আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে আম্পায়ারদের একের পর এক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আম্পায়ার বাংলাদেশের পক্ষে দিলে সেগুলো বহাল থাকতো। আম্পায়ার্স কলের কারণে সেগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে।
সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি আম্পায়ারিং একটা বড় ভূমিকা পালন করে একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য। একটা সিদ্ধান্তে অনেক কিছু নির্ভর করে আসলে। সকাল থেকে সবাই দেখেছেন আম্পায়ারিং, এটা তো লুকানোর কিছু নেই। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। যেটা আগেই যদি পেতাম, তাহলে হয়ত ২৭০ (২৭৪) তাড়া না করে এখন ১৮০ তাড়া করতাম।’
করোনা পরিস্থিতির আগে টেস্টে অনফিল্ড দুই আম্পায়ারই থাকতেন নিরপেক্ষ দেশের। আর ওয়ানডেতে একজন করে থাকতেন নিরপেক্ষ আম্পায়ার। করোনার বিস্তারের পর আইসিসি সেই নিয়ম স্থগিত করে স্থানীয় আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা শুরু করে। ডারবানের দুই ফিল্ড আম্পায়ারও স্থানীয়।
তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুজন বলেন, ‘তবে আম্পায়াদের প্রতি সম্মান জানাই। তারাই সেরা বিচারক। আমাদের মেনে নিতে হবে সব সময়ই। আমরা একটা রিভিউ নিলে হয়তো উইকেট পেতাম (কিগান পিটারসেনের), ভয়ে নেওয়া হয়নি বা ভুল করেছে ছেলেরা। তবে সত্যি কথা বলতে, এত অধারাবাহিক আম্পায়ারিং অনেক দিন পর দেখলাম।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.