চতুর্থ প্রজন্মের ও দুর্বল দুই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন-ভাতা কার্যকরে কিছুটা সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর অন্য ব্যাংকগুলোকে তা আগামী মার্চ থেকেই কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি ক্যাশ ও জেনারেল কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাও আলাদা করে দিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের অফিস সহায়কদের বেতন-ভাতা পৃথক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপনে চতুর্থ প্রজন্মের ৯ ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল, কমিউনিটি, সীমান্ত, সিটিজেন, বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামিকের জন্য পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক অবস্থা দুর্বলতা বিবেচনায় এই সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই ব্যাংকগুলোর নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত জেনারেল কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা, আর ক্যাশ কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা হবে ৩৬ হাজার টাকা। এই মূল বেতন আগামী এপ্রিল মাসে দিতে, ভাতা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে। তবে ব্যাংক চাইলে আগামী এপ্রিল থেকেই বেতন-ভাতা দুটোই দিতে পারবে। নতুন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা অনুযায়ী অন্যদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে। এই ব্যাংকগুলোতে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা ও ক্যাশ কর্মকর্তাদের ২৬ হাজার টাকা। পুরোনো বেতন কাঠামোর সঙ্গে যে পার্থক্য হবে, তার ৫০ শতাংশ আগামী এপ্রিলে ও বাকি ৫০ শতাংশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেওয়া যাবে।
পুরোনো ব্যাংকগুলোর শিক্ষানবিশ ও স্থায়ী কর্মীদের বেতন-ভাতাও একই হবে, যার পুরোটাই আগামী এপ্রিল থেকে দেওয়া শুরু করতে হবে। একইভাবে অন্যধাপের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারন করে এপ্রিলে প্রতান করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ সব বিভাগীয় শহরের অফিস সহায়ক/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/নিরাপত্তাকর্মী ও দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হবে ২৪ হাজার টাকা। একই পদে অন্যান্য জেলা শহরের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হবে ২১ হাজার টাকা ও উপজেলা শহরের ১৮ হাজার টাকা। কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন-ভাতা দিতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা করে ব্যাংক নির্দিষ্ট করতে পারবে।
এর আগে বেসরকারি খাতের ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা বেঁধে দিয়ে ব্যাংকারদের পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা ও অদক্ষতার অজুহাতে কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকারদের চাকরির সুরক্ষায় আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অর্থসূচক/এমএস/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.