টিআইবির প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী

দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রকাশিত প্রতিবেদন একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা মনে করি এ ধরনের সংগঠন থাকা ভালো। কিন্তু সেই সংগঠনের কোনো প্রতিবেদন যদি ভুল তথ্য-উপাত্তে হয় কিংবা ফরমায়েসি, উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা গতানুগতিক হয়, সেই সংস্থাটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। গতকালের রিপোর্টটাও গতানুগতিক, একপেশে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির সূচক নিয়ে টিআই গতকাল যে তথ্য প্রকাশ করেছে এটি গতানুগতিক ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। টিআইবি একটি এনজিও, বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ফান্ড সংগ্রহ করে চলে। জাতিসংঘের অ্যাফিলিয়েটেড কোনো সংস্থা নয়। এটিকে আমাদের দেশে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হলেও ভারতসহ অনেক দেশে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

টিআইবির ও বিএনপির বিবৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে টিআইবি বিবৃতি দিয়েছে। তারা তো দুর্নীতি নিয়ে কাজ করে। নির্বাচন কমিশন আইন কিংবা নির্বাচন কমিশন গঠন পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক। রাজনৈতিক ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে টিআইবি প্রমাণ করেছে তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়।

তিনি আরও বলেন, টিআইবি দুর্নীতিগ্রস্ত অনেক সংস্থার কাছ থেকেও ফান্ড গ্রহণ করে। তাদেরই একজন কর্মকর্তা, যাকে তাদের ইন্টেগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে চাকরিচ্যুত করা হলে জনসম্মুখে তিনি সেটি প্রকাশ করেছিলেন।

বিএনপির সময় টিআইবি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়ন করে প্রতিবেদন দেয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ যারা টিআইবিতে কাজ করছেন, তখন এদের অনেকে ছিলেন না। অন্যরা ছিলেন। তখন যে দুর্নীতি হয়েছে সেটির প্রমাণ হয়েছে। আরাফাত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে, এফবিআই এসে বাংলাদেশে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে। হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে প্যারালাল সরকার পরিচালনা করে দুর্নীতি করা হতো―সেটি সর্বজনবিদিত এবং আদালতের বিচারেও প্রমাণিত হয়েছে।

বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন। বিষয়টি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সহকর্মীদের চাপের মুখে ৫ মিনিট পর এসে তিনি (মির্জা ফখরুল) বললেন, কোনও লবিস্ট নিয়োগ করিনি। আসলে প্রথমটাই সত্য ভাষণ ছিল। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে লাভ নেই। বিভিন্ন দেশের সরকার দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য এবং দেশের রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ট্যুরিজমকে প্রোমোট করার জন্য পিআর ফার্ম নিয়োগ করে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির কথা শুনে মনে হচ্ছে স্বয়ং জিবরাইলকে (আ.) যদি দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং উনি এসে যতক্ষণ বিএনপিকে না বলবেন এমন একটি কমিশন গঠন করে দেব যেটি বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে―সেটার আগ পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবেন না।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.