শাবি ভিসির বাসভবনে বিদ্যুৎসংযোগ ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনে প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎসংযোগ ফিরিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়। এর আগে আন্দোলনের ১০ম দিন গত রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী উমর ফারুক বলেন, ভিসির বাসভবনে বিদ্যুতের যে লাইনটি গিয়েছে সেই একই লাইন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০/৩৫ জন কর্মচারীর বাসায়ও বিদ্যুৎ সংযোগ গেছে। ভিসি ভবনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ওই কর্মচারীরাও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিলেন। তাদের বাসার রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন জানালে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করি।

পরে রাত সোয়া ২টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের অনশনরত শিক্ষার্থীদের কষ্টের একাংশ ভিসিকে অনুভব করানোর জন্য তাঁর বাসভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলাম। আমরা কোনো প্রকার সহিংস আচরণে বিশ্বাসী নই। যে কোন সংকটময় মুহূর্তে সাবেক শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসেন এবং তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনেও আর্থিক ও মানসিকভাবে সাহায্য করেছেন। সে পথ‌ও রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যেসব মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে সাবেক শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্য পাঠাতেন, সেসব মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরগুলো আর কাজ করছে না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে নামেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। পরে দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে দেওয়া উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফেরেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্য তাদের দাবি না মেনে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করেন। পরে সেই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। যদিও পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.