অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির হাসপাতালে আরও ২৫ রোগীর মৃত্যু

ভারতের রাজধানী দিল্লির এক হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে গত রাতে ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের এক কর্মকর্তা শনিবার (২৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছেন। হাসপাতাল পরিচালকের এই তথ্য থেকেই ভারতের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের চিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ডা. ডি কে বালুজা বলেন, সরকারের তরফ থেকে আমাদের হাসপাতালকে ৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ বরাদ্দের সেই চালান আসার কথা ছিল, কিন্তু সেটি এসেছে প্রায় মাঝরাতে। এর মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মারা গেছেন এই ২৫ রোগী।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টায় আমাদের ৩ হাজার ৬০০ লিটার অক্সিজেন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা রাত ১২টায় ১ হাজার ৫০০ লিটার পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যে ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে এখন ২১০ জন করোনা রোগী রয়েছেন।

এর আগে নয়াদিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকা ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে দিল্লি অন্যতম। অতিরিক্ত সংখ্যক করোনা রোগীর চাপ থাকার কারণে বর্তমানে দিল্লির কোনো হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি করার মতো অবস্থা নেই।

এরমধ্যে হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে করোনা চিকিৎসার ওষুধ ও অক্সিজেনের সংকট। শুক্রবার সকালে জরুরিভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহ চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজালের কাছে এসওএস বার্তা (জরুরি সাহায্য বার্তা) পাঠিয়েছিল জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মূলচান্দ হাসপাতালের চিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ডা. মাধু হান্দা এনডিটিভিকে বলেন, এসওএস বার্তা পাঠানোর পর যখন অক্সিজেনের চালান এলো, তখন আমাদের হাসপাতালে মাত্র আর ৩০ মিনিট চলার মতো অক্সিজেন অবশিষ্ট ছিল।

তিনি আরও জানান, দিল্লির বেশিরভাগ হাসপাতালের অক্সিজেনের মজুত শেষ হয়ে আসছে। আজ যে পরিস্থিতিতে জয়পুর গোল্ডেন ও মুলচান্দ হাসপাতাল পড়েছে, দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহে বিলম্ব ঘটলে ক’দিন পর অন্যান্য হাসপাতালেও একই চিত্র দেখা যাবে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩১ জন রোগী। এ রোগে এসময় সেখানে মারা গেছেন ৩৪৮ জন।

সূত্র: এনডিটিভি।

অর্থসূচক/কেএসআর