বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন। আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে পলাতক আসামিরা হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
ওবায়দুল কাদের ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।
এ মামলায় সাত আসামিকে গ্রেফতার করে ২৯ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে কাউকে খুঁজে পায়নি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। নন-এক্সিকিউশন রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল-২-কে এ তথ্য জানান প্রসিকিউশন।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই দিন সকালে ট্রাইব্যুনাল-২ এর রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে এ নিয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
শুনানি শেষে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পাশাপাশি সবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.