চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বড় বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো—ভারত, চীন, রাশিয়া ও জাপান—নতুন ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে এ সময়ে তারা আগে নেওয়া ঋণের অর্থ পরিশোধ করেছে। একই সময়ে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)ও ঋণের কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-নভেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ মাসে দাতা সংস্থা ও দেশগুলো ১৯৫ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করেছে। অপরদিকে সরকার আগের ঋণের সুদ ও আসল অর্থ পরিশোধ করতে খরচ করেছে ১৮৯ কোটি ডলার। এর অর্থ হলো, চলতি পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণ প্রায় সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, এই সময়ে বাংলাদেশ ১২২ কোটি ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। নভেম্বর মাসে কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। সার্বিক প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৫৮ কোটি ডলার এসেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে, বিশ্বব্যাংক থেকে প্রায় দুই কোটি ডলার, এবং অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশগুলো থেকে বাকি ৬২.৫ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি এসেছে।
কারা কত ঋণ ছাড়েছে- রাশিয়া ৫৫ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংক ৪৩ কোটি ডলার, এডিবি ৩৩ দশমিক ৫ কোটি ডলার, চীন ১৯ দশমিক ৫ কোটি ডলার, ভারত ৯ কোটি ডলার, জাপান ৮ দশমিক ৫ কোটি ডলার, গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ ৫২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.