অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, শুরু থেকেই নাগরিক কমিটি ও এনসিপি গঠনে তিনি সম্পৃক্ত থাকলেও তিনি এ এনসিপির অংশ হচ্ছেন না।
মাহফুজ আলম এই মাসেই তফসিল ঘোষণার আগে আগে সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে পদত্যাগের পরে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি।
রোববার ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে মাহফুজ আলম বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না উল্লেখ করে বলেন, আমি এই এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোনো একটি আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে আমার দীর্ঘ মেয়াদি অবস্থান ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
মাহফুজ বলেন, নাগরিক কমিটি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি।
নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজসহ-অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো
ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
তবে নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব এবং বিকল্প ও মধ্যপন্থি তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন বলে মনে করেন সাবেক এই উপদেষ্টা। একইসাথে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটা ‘শীতল যুদ্ধে’ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্বে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। এতে আপনারা আমার সাথে আসতে চাইলে, আপনাদের স্বাগতম।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.