২ দিনে শেষ টেস্ট, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি ৬০ কোটি

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে চারিদিকে। বক্সিং ডে টেস্টের উইকেট নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। মাত্র দুইদিনে শেষ হয়েছে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট। মাত্র দুইদিনে ২০ উইকেট পতনের অন্যরকম নজির দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।

উইকেটে অতিরিক্ত ঘাস ছিল। যা বোলারদের বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আর্থিকভাবেও। বাকি তিনদিনের টিকিট বিক্রি করতে না পেরে ১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের খেলার আগে আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জানিয়েছিলেন, সংক্ষিপ্ত টেস্টের কারণে প্রায় ৩৩ লাখ ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। বাস্তবে দেখা গেছে, পার্থ টেস্ট দুই দিনে শেষ হওয়ায় সেখানেই প্রায় ৫০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছিল।

এমসিজির দর্শক ধারণক্ষমতা পার্থের চেয়ে প্রায় ৪০ হাজার বেশি। ফলে ক্ষতির অঙ্কও বড়। সাংবাদিক জেন বোজ্যাক শনিবার জানান, এই ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি হতে পারে। বোজ্যাক লিখেছেন, ‘আমি শুনছি টিকিট বিক্রি থেকেই প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে… পরবর্তী দুই দিনের কারণেই এই ক্ষতি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার… এর সঙ্গে রয়েছে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সম্প্রচারকারীরা।’

এদিকে প্রখ্যাত ক্রিকেট সাংবাদিক রবার্ট ক্র্যাডক তার সাম্প্রতিক কলামে জানিয়েছেন, আইসিসি এমসিজির পিচকে নিম্নমানের রেটিং দিতে পারে। ক্র্যাডক লিখেছেন, ‘ম্যাচ অফিসিয়ালরা একে নিম্নমানের রেটিং দেবেন… যে ডার্টি উইকেটে (ইংল্যান্ড) জয় পেয়েছে, এমন পিচ যেন আর কখনো দেখা না যায়—অস্ট্রেলিয়াকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

২০১৭ সালের পর এই প্রথম এমসিজি এমন রেটিং পাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। আইসিসির রেটিংয়ের চারটি স্তর রয়েছে-খুব ভালো, সন্তোষজনক, অসন্তোষজনক এবং অনুপযুক্ত। যদি এমসিজির পিচ ‘সন্তোষজনক’ এর নিচে রেটিং পায়, তাহলে ভেন্যুটি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাবে। সময়ের সঙ্গে এসব পয়েন্ট জমতে থাকলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। এ প্রসঙ্গে ক্র্যাডকের মতে, ‘কিউরেটররা উইকেটে ১০ মিলিমিটার ঘাস রেখে দিয়েছিলেন—গত বছরের তুলনায় ৩ মিলিমিটার বেশি—ফলে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে।’

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.