রমজান মাস সামনে রেখে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ৪ কোটি ৭৫ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ১ কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল এবং ৩ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, রাইস ব্রান তেল স্থানীয় পর্যায় থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হবে। আর সয়াবিন তেল কেনা হবে আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে।
রাইস ব্রান তেল সরবরাহ করবে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এ তেলের প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৭ টাকা ৯০ পয়সা। গাইবান্ধার প্রধান অয়েল মিল সরবরাহ করবে ২৫ লাখ লিটার, ঢাকার গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ সরবরাহ করবে ২৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড সরবরাহ করবে ৫০ লাখ লিটার।
আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান সেন মিলেনিয়াম ট্রেড। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটার তেল সরবরাহ করবে ১৩২ টাকা দরে। আরেকটি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির প্রতিষ্ঠান স্টুয়ার্ট ক্লোবানু গেরহার্ড ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা ৬৯ পয়সা।
এছাড়া ২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে নাইজেরিয়ার ভিডক ফার্ম অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে ১২১ টাকা ৩২ পয়সা দরে।
একই বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। এ চাল সরবরাহ করবে ভারতের এম/এস পট্টাভি অ্যাগ্রো ফুড প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৫ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।
বাকি ৫০ হাজার টন চাল সরকার-টু-সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান থেকে এ আতপ চাল কেনা হবে প্রতি টন ৩৯৫ ডলার দরে।
এছাড়া বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রস্তাবে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহসংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে কমিটি।
৫টি কূপ খননের কাজ পেল চীনা কোম্পানি
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি কূপ খননের কাজের অনুমোদন দিয়েছে। এ কাজ দেওয়া হয়েছে চীনা কোম্পানি সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন লিমিটেডকে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৯০৭ কোটি টাকা।
শাহবাজপুর-৫ ও ৭ এবং ভোলা নর্থ-৩ ও ৪—এই চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ এবং শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে আহ্বান করা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চীনা কোম্পানিটি এ কাজ পেয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.