বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘হেলথ অ্যান্ড মরবিডিটি স্ট্যাটাস সার্ভে–২০২৫’-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে শীর্ষ ১০টি রোগের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ। দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এই আহ্বান জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য অসংক্রামক রোগ দায়ী হলেও এ খাতে বাজেট বরাদ্দ অত্যন্ত সীমিত। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বক্তারা জানান, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের মোট অর্থায়নের পাঁচ শতাংশেরও কম ব্যয় হয় অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত খাতে। এই স্বল্প বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়াই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বড় বাধা।
বক্তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে উচ্চ রক্তচাপজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যয়ও হ্রাস পাবে। এ জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চিকিৎসক গীতা রানী দেবী বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে এবং পর্যায়ক্রমে সব কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. রিয়াদ আরেফিন বলেন, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উৎপাদন ও সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা তাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার, এবং দ্রুত সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জহিরুল আলম, জিএইচএআই বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার প্রোগ্রাম অফিসার সামিহা বিনতে কামাল।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.