জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই আপিল আবেদন দায়ের করা হয়।
গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ওই রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে দোষ স্বীকার করায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি শহীদদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ওই রায়ে একটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে আমৃত্যু কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে গত ১৫ ডিসেম্বর ওই আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা বাড়িয়ে দুজনেরই মৃত্যুদণ্ড চেয়ে পাল্টা আপিল করেছে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, “আমরা আমৃত্যু কারাদণ্ডের স্থলে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে মোট আটটি যুক্তিতে (গ্রাউন্ড) আপিল করেছি।”
মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় শহীদ আবু সাঈদের পরিবার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন।
গত ১০ জুলাই এই মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। একই দিনে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে রাজসাক্ষী হিসেবে উপস্থাপনের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই মামলার অধিকাংশ শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.