বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে এজিএমে বিজিবিএর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বিজিবিএর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট কাইয়ুম রেজা চৌধুরী, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব শাহরিয়ার হাসান এবং আদনান মাসুদ, এএমডি, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক পিএলসি।
সভার শুরুতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিজিবিএর ট্রেজারার ফজলুল হক সাঈদ।
অতঃপর বিজিবিএর প্রেসিডেন্ট মোফাজ্জল হোসেন পাভেলের সভাপতিত্বে এজিএম সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। শুরুতে তিনি শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিজিবিএর পক্ষ থেকে গভীর শোক ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন এ এইচ এম সালেহ উজ্জামান। সভায় উপস্থিত বিজিবিএর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট কাইয়ুম রেজা চৌধুরী প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন। সেক্রেটারি জেনারেল মো. জাকির হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্যসহ বিগত বছরে গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। ট্রেজারার ফজলুল হক সাঈদ বিজিবিএর অফিসের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আয়-ব্যয় ও অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
সবার বক্তব্য ও অডিট রিপোর্ট উপস্থাপনের পর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। এতে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন এবং বিজিবিএর সার্বিক উন্নয়নে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন।
পরিশেষে বিজিবিএর প্রেসিডেন্ট তাঁর সমাপনী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রায় নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এজিএম একত্রে করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিজিবিএর এবারই পঞ্জিকা বর্ষ অনুযায়ী ২০২৫ সালের নিয়মিত এজিএম কার্যক্রম শুরু হলো, যা আগামীতে ও চলমান থাকবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি অফিস বেয়ারার, স্ট্যান্ডিং কমিটি, ডোনারসহ সকল সদস্যকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বিজিবিএর সার্বিক উন্নয়নে সকল সদস্যকে ভবিষ্যতেও একত্রিত থেকে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.