ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় এই মামলা করেন ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ।
ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, মামলায় ২৫০ থেকে ৩৫০ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীকে আসামি করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট করে কারও নাম দেওয়া হয়নি।
ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানায়, ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনার রাতে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে সিসি ক্যামেরা, আসবাবপত্র, তবলা, হারমোনিয়াম, বেহালা এবং বিভিন্ন কক্ষে হামলা চালায় ও সেগুলোকে পুড়িয়ে দেয়। তবে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। ঘটনার পর ছায়ানট পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ সময় তিনি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার কথা জানান।
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে গেল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে হামলা হয়। ছায়ানটের ছয়তলা ভবনের প্রতিটি তলাতেই ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের নিচতলায় অগ্নিসংযোগও করা হয়।
এই ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলোর সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, কম্পিউটার, আসবাব, বাদ্যযন্ত্র তছনছের পাশাপাশি বেশ কিছু ল্যাপটপ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম লুটপাটও হয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.