বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের সম্পদ ছাড়িয়েছে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি (২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে। বছরের শুরু থেকে এসব ধনকুবেরের মোট সম্পদ বেড়েছে ৫৫ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার বা ২৮ শতাংশেরও বেশি।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্সের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি।

তালিকায় থাকা ১০ জনের মধ্যে নয়জনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাকি একজন ফ্রান্সের। তাদের মধ্যে আটজনই সরাসরি প্রযুক্তি খাতের সঙ্গে যুক্ত। বিশ্লেষকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ক্লাউড কম্পিউটিং ও ডিজিটাল সেবাভিত্তিক ব্যবসার দ্রুত বিস্তার তাদের সম্পদ বৃদ্ধির প্রধান কারণ।

তালিকার শীর্ষে রয়েছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক। চলতি বছরের শুরু থেকে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। ইলোন মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাও।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। চলতি বছর তার সম্পদ বেড়েছে ৯ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে আছেন গুগলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে। বছরের শুরু থেকে তার সম্পদ বেড়েছে ৮ হাজার ৮২০ কোটি ডলার।

চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। চলতি বছর তার সম্পদ বেড়েছে ৭০০ কোটি ডলার।

পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার ও ক্লাউড প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। বছরের শুরু থেকে তার সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ৬১০ কোটি ডলার।

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। চলতি বছর তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে। এ সময়ে তার সম্পদ বেড়েছে ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার।

সপ্তম স্থানে রয়েছেন ফরাসি বিলাসপণ্য গোষ্ঠী এলভিএমএইচের প্রতিষ্ঠাতা বেহনা আহনোঁ। চলতি বছর তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৬১০ কোটি ডলার। এতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকায় ইউরোপের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি।

অষ্টম স্থানে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমার। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বছরের শুরু থেকে তার সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

নবম স্থানে আছেন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং। তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে আর সম্পদ বেড়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন মার্কিন বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। বছরের শুরু থেকে তার সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ২০ কোটি ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, ভিন্নধর্মী বিনিয়োগ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি কোম্পানির অতিরিক্ত প্রভাবযুক্ত এ তালিকায় নিজেকে ধরে রেখেছেন ওয়ারেন বাফেট।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.