এফবিআই উপপ্রধান ড্যান বঙ্গিনোর পদত্যাগের ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) উপপ্রধান পরিচালক ড্যান বঙ্গিনো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বঙ্গিনো বলেছেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই এফবিআইয়ের উপপ্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “ড্যান দুর্দান্ত কাজ করেছেন। তবে আমার মনে হয়, তিনি তার পডকাস্ট শো’তে ফিরে যেতে চান।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক্স পোস্টে ড্যান বঙ্গিনো বলেন, “আগামী জানুয়ারি মাসে আমি এফবিআই-এ আমার পদ থেকে সরে দাঁড়াব। আমাকে এই সংস্থার উপপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং ডিরেক্টর কাশ পটেলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আমার দেশবাসীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনারা আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। ঈশ্বর যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিনীদের মঙ্গল করুন।”

ড্যান বঙ্গিনো একসময় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন একজন কর্মকর্তা ছিলেন। এর পাশাপাশি একটি পডকাস্ট শো-ও পরিচালনা করতেন তিনি।

পডকাস্ট শোতে নানা সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে রিপাবলিকান পার্টির অনুগত হওয়ায় ডানপন্থি এই পুলিশ কর্মকর্তাকে চলতি বছরের শুরুর দিকে এফবিআইয়ের উপপ্রধান করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছিল এফবিআই কর্মকর্তাদের সংস্থা এফবিআই এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্যসংখ্যা ১৪ হাজার। এফবিআইয়ের পরিচালক কাশ প্যাটেলও বঙ্গিনোকে উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন; তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ তার পক্ষে এড়ানো সম্ভব ছিল না।

নিয়োগপ্রাপ্তির পর ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান বঙ্গিনো, তবে সেসবের চেয়েও তার বড় ব্যর্থতা হলো কুখ্যাত যৌন অপরাধী এপস্টেইনের গোপন নথি। এই নথির খবর আটকানোর ক্ষেত্রে তেমন জোরালো কোনো পদক্ষেপই নেননি বঙ্গিনো। ফলে তার বিদায় একপ্রকার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল।

এফবিআই সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবারই এফবিআই দপ্তরে তার ডেস্ক থেকে জরুরি সব নথিপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.