প্রাথমিকের ‘মেধা যাচাই পরীক্ষা’ স্থগিত করলেন হাইকোর্ট

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার ওপর এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রিটকারির আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিয়াজ মোর্শেদ আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। আদালতের এই নির্দেশের ফলে আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত এই পরীক্ষা আপাতত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

গত ৩ নভেম্বর এক রুলে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও বৃত্তি বা মেধা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার নাম ‘বৃত্তি পরীক্ষা’ থেকে পরিবর্তন করে ‘মেধা যাচাই পরীক্ষা’ রেখে শুধু সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য সময়সূচি ঘোষণা করে। একে আদালতের রায়ের সঙ্গে ‘চতুরতা’ ও ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন রিটকারী আইনজীবীরা।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিয়াজ মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি স্কুলের লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে এই প্রতিযোগিতা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। এটি আইনের পরিপন্থি। আদালত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এই পরীক্ষার কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।’

এর আগে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল যে, ওএমআর পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে এই মেধা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি পরীক্ষার্থীর জন্য ১০০ টাকা ফি-ও নির্ধারণ করা হয়েছিল।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.