বিজয় দিবসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী এই কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘কসাই মোদির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘কসাই মোদির দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ’, ‘দিল্লি না, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দেবে জনগণ’ এবং ‘আজকের এই দিনে, আবরারকে মনে পড়ে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আয়োজকদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজয় দিবসের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ ও দিনটিকে কলঙ্কিত করার প্রতিবাদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৭ বছরে যে অপশাসন চলেছে, সেই অপশাসনের মদদদাতাও হচ্ছে এই ভারত।’ তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ।’
এ ছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে মধুর ক্যানটিনের পাশে মাটিতে পদদলিত করার জন্য নরেন্দ্র মোদির ছবিসংবলিত একটি স্টিকার লাগানো হয়।
এর আগে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযমের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.