রিমান্ডে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

এদিন সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটের দিকে সাদা মাইক্রো গাড়িতে করে ডিবি অফিস থেকে আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপরে সন্ধ্যা ৫টা ২৮ মিনিটে আনিস আলমগীরকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়। নেওয়ার সময় প্রচণ্ডরকম ভিড় দেখা যায়। তোলার সময় আনিসের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। এরপর ৫টা ৩২ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। কাঠগড়ায় হাজিরের পর তার পক্ষের আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন আনিস আলমগীর, এরপর অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বারবার হাত দিয়ে চোখের পানি মোছেন তিনি।

এর আগে দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনও এ মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন।

রোববার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ। অভিযোগে নাম আসা অপর দুজন হলেন-মডেল মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে দেশে অবস্থান করে দেশের স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামোকে ধ্বংসের লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। বিবাদীরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করে আসছে। বিবাদীদের বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা ও অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.