উন্নত দেশগুলো জিডিপির পাঁচ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করতে পারে, কারণ তারা জিডিপির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রাজস্ব আয় করে। আমাদের দেশে জিডিপির মাত্র ৬ শতাংশ রাজস্ব আয় রয়েছে, তাই স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট ব্যয় নিশ্চিত করা কঠিন। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে ঋণের বোঝা বাড়বে। তাই ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত ব্যয় নিশ্চিত করতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সকালে (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান র্যাপিডের আয়োজনে পরবর্তী সরকারের জন্য সামাজিক অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ আগামী নির্বাচিত সরকারের সামনে ১২টি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকারকে প্রথম বছরেই গ্রহণযোগ্য শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের প্রধান কাজ হবে সংকট মোকাবিলা করা। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান র্যাপিডের উক্ত সেমিনারে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক।
মূল প্রবন্ধে আগামী সরকারের সামনে প্রধান ১২টি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে এলডিসি উত্তরণের জন্য সময় বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ব্যবস্থার পুনর্গঠন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিনিময় হার ধরে রাখতে রিজার্ভ বৃদ্ধি, রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি। এছাড়া ঋণের চাপ সামলানো, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, তথ্য–উপাত্তের স্বচ্ছতা আনা এবং রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত।
সেমিনারে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, উন্নত দেশগুলো জিডিপির পাঁচ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করতে পারে, কারণ তারা জিডিপির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রাজস্ব আয় করে। আমাদের দেশে জিডিপির মাত্র ৬ শতাংশ রাজস্ব আয় রয়েছে, তাই স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট ব্যয় নিশ্চিত করা কঠিন। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে ঋণের বোঝা বাড়বে। তাই ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যান্য বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর প্রমুখ।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.