একই দিনে, একই সময়—দেশের ১৬টি অঞ্চলে একসাথে অনুষ্ঠিত হলো ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)-এর টাউনহল। কোথাও ব্যাংকের চেয়ারম্যান, কোথাও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোথাও এএমডি, ডিএমডি বা সিনিয়র কর্মকর্তারা নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরো দেশের টিম-মেম্বারদের নিয়ে এমন সমন্বিত আয়োজন দেশের ব্যাংকিং অঙ্গনে এক অভিনব অভিজ্ঞতা হিসেবে ধরা দিয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউসিবি এই বছর ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি নেট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি এবং নতুন ৬ দশমিক ৫ লক্ষেরও বেশি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাইলফলক অর্জন করেছে। এটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং গত বছরের তুলনায় আড়াই গুণের বেশি। চলতি বছরের শুরু থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে সর্বোচ্চ ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি, খারাপ ঋণ পুনরুদ্ধার এবং শাখার প্রফিটেবিলিটি বৃদ্ধিতে ব্যাংক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন: দেশের প্রতিটি টিম-মেম্বারকে এক সুতোয় গাঁথা। সেই দর্শনের প্রতিফলন হিসেবে ইউসিবি এ বছর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চারটি রিজিওনাল টাউনহল আয়োজন করেছে। একই দিনে ১৬টি অঞ্চলের শাখা প্রধানরা তাদের অর্জন তুলে ধরেছেন, কার্যকর বিজনেস কৌশল ভাগ করেছেন এবং পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন।
টাউনহলগুলোর প্রভাব স্পষ্ট। প্রতিটি টিম-মেম্বার এখন জানে তার মিশন ও লক্ষ্য। সাপোর্ট স্টাফরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছেন। এক কোটি টাকার বেশি আমানত সংগ্রহকারী কর্মীদের হাতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষরযুক্ত বিশেষ সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কর্মীরা গান, কবিতা ও কৌতুকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করেছেন।
ইউসিবি’র এমডি ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেছেন, “আমরা যা কিছু করছি, তা গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য, সবাই মিলে একসাথে, একপথে।” জানুয়ারির টাউনহল ডিসেম্বরেই সম্পন্ন করার মাধ্যমে ব্যাংক বছরের শুরুতে বছরের পরিকল্পনাকে কার্যকর করেছে। ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর একই দিনে, একই মিশনে অনুষ্ঠিত টাউনহল ইউসিবি’র আগামী বছরের সাফল্যের সূচনা করেছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.