নেট-জিরো বাস্তবায়নে পোশাক ও টেক্সটাইল গ্রাহকদের সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের সচেতনতা কর্মসূচি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের গ্রাহকদের জন্য কার্বন অ্যাকাউন্টিং, নেট-জিরো পথনকশা এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং বিষয়ক প্রথম গ্রাহক সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করেছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই সেশনটি সুইসকন্ট্যাক্ট এবং সেবা লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় এবং সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাস–অর্থায়িত ‘প্রোগ্রেস প্রজেক্ট’-এর আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে টেকসই অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা, বিশেষ করে নারীদের কর্মশক্তি উন্নয়ন, জ্বালানি-দক্ষতা ও ইএসজি অনুশীলন সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় সেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

স্বাগত বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ বিজনেস অফিসার ফয়সাল রহমান টেকসই উন্নয়নকে যৌথ দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রাইম ব্যাংক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে বিশ্বাস করে এবং গ্রাহকদের ট্রানজিশনকেই ব্যাংকের ট্রানজিশন হিসেবে দেখে। তিনি বলেন, এটি কোনো বোঝা নয়, বরং অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা এবং বাংলাদেশকে একটি জলবায়ু-স্মার্ট উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ।

সেশনে ৫৫টি তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানের সিএফও, ফাইন্যান্স ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জলবায়ু ও ইএসজি কমপ্লায়েন্স প্রত্যাশা পূরণে শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের বাড়তে থাকা আগ্রহের প্রতিফলন দেখা যায়। এ সময় সুইসকন্ট্যাক্টের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ রিস্ক অফিসার মো. জিয়াউর রহমান এবং ব্যাংকের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা গ্রাহকদের টেকসই উন্নয়নে সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যাংকের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.