মেক্সিকোর আমদানি শুল্ক ৫০% পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

ভারত–চীনসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর আমদানি শুল্ক সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো। সিদ্ধান্তটি ২০২৬ সাল থেকে ধাপে ধাপে কার্যকর হবে। বুধবার দেশটির সিনেট এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ব্যবসায়ী মহল এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আগেই নিম্নকক্ষে পাস হওয়া এ বিল অনুযায়ী, মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশ—বিশেষ করে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা গাড়ি, যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল, পোশাক, প্লাস্টিক ও ইস্পাতসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এর মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যেই শুল্ক ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।

বিলটি সিনেটে ৭৬ ভোটে পাস হয়েছে। বিলের বিরোধিতা করেছেন ৫ জন এবং ভোটদানে বিরত থাকেন ৩৫ জন। চীনসহ কয়েকটি দেশ এবং মেক্সিকোর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী স্পষ্টভাবে বিরোধিতা করলেও সরকার নিজেদের অবস্থানেই অটল থাকে।

তবে অনুমোদিত আইনটি আগের প্রস্তাবের তুলনায় তুলনামূলকভাবে নরম। প্রাথমিক খসড়ায় যেখানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ধরনের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের কথা ছিল, সেখানে চূড়ান্ত সংস্করণে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পণ্যে শুল্কের হার কমানো হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দুটি বড় কারণ রয়েছে। এগুলো হলো— আগামীর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি পর্যালোচনার আগে ওয়াশিংটনকে সন্তুষ্ট করা, এবং বাজেট ঘাটতি কমাতে আগামী বছরে অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার আয় নিশ্চিত করা।

মেক্সিকোর বিরোধী দল প্যান পার্টির সিনেটর মারিও ভাসকেস এ শুল্ক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, ‘একদিকে এটি চীনা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা কয়েকটি স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেবে এবং কর্মসংস্থান বাঁচাবে। কিন্তু অন্যদিকে, বাড়তি শুল্ক মানে জনগণের ওপর সরাসরি করের বোঝা।‘

অন্যদিকে, শাসকদল মোরেনার সিনেটর ও অর্থনৈতিক কমিটির প্রধান ইমানুয়েল রেয়েস এই পদক্ষেপকে দেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, ‘এটি শুধু রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নয়; বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কল্যাণের লক্ষ্যে বাণিজ্যনীতিকে পুনর্গঠনের অংশ।‘

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.